Skip to main content

Featured

Be healthy in life.

 Assalamu Alaikum. If we want to be healthy in life we should follow some of important rule. Because health is the Root of all happiness. 

অজ্ঞান পার্টির কান্ডকারখানা।



 


অজ্ঞান পার্টি: আধুনিক সমাজের এক ভয়ঙ্কর প্রতারক চক্র-

অজ্ঞান পার্টি বাংলাদেশের অন্যতম ভয়ঙ্কর ও কৌশলী অপরাধী চক্র। এই চক্রের প্রধান অস্ত্র হলো মানুষের সরলতা ও অজ্ঞান করে প্রতারণা। বিশেষ করে বাস, ট্রেন বা লঞ্চে যাত্রাকালে যাত্রীর অজান্তেই খাবার বা পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয় মাদক জাতীয় বস্তু। ফলে ভুক্তভোগী অচেতন হয়ে পড়েন, এবং তখনই তার সর্বস্ব লুট করে নেয় প্রতারকরা।

কীভাবে কাজ করে অজ্ঞান পার্টি?

অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা সাধারণত যাত্রীবেশে মানুষের সঙ্গে মিশে যায়। তারা বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করে বিশ্বাস অর্জন করে। এরপর সুযোগ বুঝে খাবার বা পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ বা চেতনা হারানোর উপাদান মিশিয়ে দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ভুক্তভোগী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। চক্রটি তখন তার টাকা, মোবাইল, গহনা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়।

সাধারণভাবে যেসব জায়গায় এদের সক্রিয়তা বেশি:

  • বাস টার্মিনাল
  • রেলস্টেশন
  • লঞ্চ ঘাট
  • হাট-বাজার
  • দূরপাল্লার যাত্রীবাহী যানবাহন

ভুক্তভোগীর পরিণতি

অনেক সময় অতিমাত্রায় মাদক প্রয়োগের ফলে ভুক্তভোগী মারাও যেতে পারেন। আবার কেউ কেউ দীর্ঘ সময় কোমায় চলে যান বা স্থায়ীভাবে মানসিক ক্ষতির শিকার হন। অনেকের পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, বা গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র চুরি হয়, যার মাধ্যমে পরে অন্য অপরাধও সংঘটিত হতে পারে।

প্রতিরোধে করণীয়

  1. অপরিচিত কারও কাছ থেকে খাবার বা পানীয় গ্রহণ করবেন না।
  2. ভ্রমণের সময় নিজের খাবার-পানীয় নিজেই বহন করুন।
  3. সন্দেহজনক আচরণ লক্ষ্য করলে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ কর্তৃপক্ষকে জানান।
  4. পরিবারের সদস্যদের অজ্ঞান পার্টির বিষয়টি জানিয়ে সচেতন করুন।
  5. যেকোনো অপরাধ ঘটলে দ্রুত থানায় অভিযোগ দায়ের করুন।

আইনের প্রয়োগ ও সচেতনতা জরুরি

অজ্ঞান পার্টি একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র হওয়ায় এদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী গোয়েন্দা নজরদারি, দ্রুত বিচার এবং কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। পাশাপাশি গণসচেতনতা বাড়িয়ে জনগণকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সতর্ক থাকতে হবে।

Comments

Popular Posts