Skip to main content

Featured

Village Life.

  Village Life – A Journey into Simplicity and Nature Village life is a reflection of harmony between humans and nature. It is calm, serene, and deeply rooted in tradition and simplicity. In a world that is rapidly urbanizing, where technology and fast-paced living dominate, village life stands as a reminder of how peaceful and fulfilling a simple lifestyle can be. Natural Environment and Beauty Villages are usually located away from the noise and pollution of big cities. They are surrounded by lush green fields, tall trees, rivers, ponds, and sometimes hills or forests. The environment is clean, the air is fresh, and the rhythm of life is guided by the rising and setting of the sun. Waking up to the chirping of birds, seeing the sun rise over green fields, and hearing the rustling of leaves in the wind—these are daily experiences in a village. The beauty of nature is not just seen but felt. This natural setting plays a major role in shaping the calm and gentle nature of village pe...

আসছে কোরবানি।


 আসছে কোরবানি


প্রতি বছর যখন জিলহজ মাসের চাঁদ আকাশে উদিত হয়, মুসলিম হৃদয়ে এক বিশেষ অনুভূতি জেগে ওঠে—আসছে পবিত্র কোরবানির ঈদ। এই ঈদ শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং ত্যাগ, ভ্রাতৃত্ব, সহমর্মিতা এবং আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আনুগত্যের এক অনন্য প্রতীক। মুসলিম উম্মাহর জন্য এটি আত্মশুদ্ধি ও আত্মনিবেদনের এক মহৎ উপলক্ষ।


কোরবানির ইতিহাস অত্যন্ত তাৎপর্যময়। মহান আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দা হজরত ইব্রাহিম (আ.) ছিলেন একজন আদর্শিক নবী, যিনি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজের সন্তানকে কোরবানি করতে দ্বিধা করেননি। এ ঘটনার মাধ্যমে আমাদের সামনে ভরসা, বিশ্বাস এবং আত্মত্যাগের এক মহান আদর্শ স্থাপন করা হয়েছে। যখন তিনি তাঁর প্রিয় পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি দিতে উদ্যত হন, তখন আল্লাহ তাআলা তাঁর আনুগত্যে সন্তুষ্ট হয়ে একটি পশু কোরবানির বিকল্প হিসেবে পাঠিয়ে দেন। সেই ঐতিহাসিক ঘটনার স্মরণেই মুসলিম বিশ্ব আজও এই মহান কোরবানির রীতি পালন করে আসছে।


কোরবানি কেবল একটি ধর্মীয় রীতিই নয়, এটি একটি সামাজিক দায়িত্বও বটে। আল্লাহর নামে পশু কোরবানি করার পাশাপাশি সেই মাংসের একটি বড় অংশ গরিব-অসহায়দের মাঝে বিতরণ করার বিধান রয়েছে। এতে সমাজে ধনী-দরিদ্রের মাঝে সেতুবন্ধন গড়ে ওঠে, সৃষ্টি হয় সৌহার্দ্য ও মানবিকতার। কোরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করে—এক ভাগ আত্মীয়-স্বজন, এক ভাগ গরিবদের এবং এক ভাগ নিজের পরিবারের জন্য রাখার বিধান—এই বিধান মানবতাবোধের এক উজ্জ্বল উদাহরণ।


আসন্ন কোরবানির ঈদে আমাদের প্রত্যেকের উচিত কোরবানির মূল শিক্ষা হৃদয়ে ধারণ করা। কেবল পশু জবাই নয়, বরং নিজের অহংকার, হিংসা, কূপমণ্ডূকতা, ঈর্ষা, লোভ ইত্যাদি মানব জীবনের পশুত্বকেও কোরবানি দেওয়া প্রয়োজন। এই উৎসব আমাদের শেখায় ত্যাগের মহিমা, আত্মশুদ্ধির পথ এবং আল্লাহর প্রতি পরিপূর্ণ আনুগত্য।


আজকের সমাজে যখন মানুষ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছে, তখন কোরবানির শিক্ষা আমাদের নতুন করে ভাবতে শেখায়—আমরা কাদের জন্য, কী উদ্দেশ্যে বেঁচে আছি? শুধু নিজের জন্য নয়, বরং সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কল্যাণে কাজ করাই প্রকৃত মুসলমানের পরিচয়। তাই কোরবানির উৎসব হোক আত্মবিশ্বাস ও মানবিকতা জাগরণের এক অনন্য উদাহরণ।


শেষ কথা হলো, আসছে কোরবানি—আসছে আত্মত্যাগের মহোৎসব। এই উৎসব হোক আমাদের হৃদয়ের পরিশুদ্ধি, সমাজে সাম্যের বার্তা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের এক মোক্ষম সুযোগ।


Comments

Popular Posts